দুর্ঘটনার ৪০ বছর পরও ঢাবির হলগুলোর করুণ অবস্থা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

১ সপ্তাহে আগে
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৪০তম শোক দিবস। ১৯৮৫ সালের এদিনে জগন্নাথ হলের অ্যাসেম্বলি ভবনের ছাদ ধসে মারা যান ছাত্র-শিক্ষকসহ ৪০ জন। এরপর থেকেই দিনটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার ৪০ বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়টির আবাসিক হলের অনেক ভবনের অবস্থা এখনও করুণ । আতঙ্কে দিন কাটে শিক্ষার্থীদের।

১৯৮৫ সালে ১৫ অক্টোবর। বিকেল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঝড় ছিলো। ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অ্যাসেম্বলি হাউজ, যেটি পরিচিত ছিলো পাকিস্তানের সংসদ ভবন নামেও। হাউজের অডিটোরিয়াম রুমে নাটক শুকতারা দেখার আশায় সে রাতে জড়ো হন ছাত্র-শিক্ষকসহ দুই শতাধিক মানুষ। ছিলেন হল কর্মচারীসহ আগত অতিথিরাও। নাটক শুরু হবে ঠিক এমন সময় ধসে পড়ে ভবনের ছাদ। মুহূর্তেই রক্তগঙ্গায় পরিণত হয় জগন্নাথ হল। জীবন বাঁচাতে দিগবিদিক ছুটতে থাকেন সবাই। প্রাণ হারান ৪০ জন, আহত হন শতাধিক। ৪০ বছর পর সেই ঘটনার বর্ণনা দিলেন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীরা।

 

প্রতিবছরের ১৫ অক্টোবর পালন হয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস। তবে ঘটনার ৪০ বছর পরও বিশ্বিবদ্যালয়ের হলগুলোর আবাসিক ভবনের অবস্থা বেশ শোচনীয়। ভবনের বিম থেকে সিলিং, অক্ষত নেই কোনোটিই। তাই আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে জানালেন হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের শিক্ষার্থীরা।

 

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ভর্তি আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ জানা গেল

 

ভবন ধসের প্রত্যক্ষদর্শী রবীন্দ্র মোহন দাস বলেন, ওইদিন বিকেল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঝড় ছিলো। বৃষ্টির ভার সইতে না পেরে ভবনের ছাড় ধসে পড়ে। এতো রক্ত দেখিছিলাম সেদিন এখনো বলতে গেলে বুক আটকে যায়, মুখ থেকে কথা বের হয় না। সেদিন যে কত মানুষের আর্তনাদ শুনেছি। নিজেও তো আহত ছিলাম।  

 

একই অবস্থা সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ফজলুল হক, শহীদুল্লাহ্ হলসহ বিশ্বিবদ্যালয়ের অনেক ভবনের।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জাবেদ আলম মৃধা জানান, ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বাজেট পাসের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা জটিলতা।

 

প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি রীতির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন