তৃতীয় বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা রোববার (১৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণেই প্রতিবাদ শুরু করে। এ সময় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে কলেজের মাঠ প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেইসঙ্গে প্রতিবাদী নানা স্লোগানে ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছর সেশন ভর্তি ফি ১১শ’ টাকা নেয়া হলেও এবছর অতিরিক্ত বিভিন্ন ফি যোগ করে সেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৫০ টাকা। অথচ পাশের বেসরকারি মহিলা কলেজে নেয়া হচ্ছে এক হাজার টাকা।
শিক্ষার্থী নুর আলম জানান, অন্য কলেজের সঙ্গে সমন্বয় করে ভর্তি ফি নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। পরে বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। তবে বিক্ষোভ চলাকালে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেদওয়ান রহমান বলেন, ‘আমার কলেজে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পুনঃভর্তি হতে হয়। এ ভর্তির যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এইটা নিয়ে তাদের আপত্তি। এখন বিষয় হলো আমাদের যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র আছে সেটা ফলো করেই আমরা ফি নির্ধারণ করেছি। এর বাইরে কোনো টাকা নাই। এখন যে বিষয়টা, আমাদের পরিপত্রের মধ্যে লিখা আছে যে অত্যাবশকীয় শিক্ষক কর্মচারী যারা আছে তাদের জন্য একটা কালেকশন করবে। এটা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। ওইটা হইলো আমাদের ৭০০ টাকা। এইটার আগে ৬০০ ছিল, এখন ১০০ বাড়ানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কলেজে বাংলার, ইংরেজির শিক্ষক নাই। আইসিটির শিক্ষক নাই। ইতিহাস নাই, ফিজিক্স নাই ক্যামেস্ট্রি নাই। সব গেস্ট টিচার এবং আমাদের কর্মচারীর ঘাটতি। কম্পিউটার অপারেটর সব বেসরকারি। এদের সবাইকে বেতন বা সম্মানি দিতে হয়। সম্মানি আমরা কালেকশন করে দেই। সরকারি কলেজ হলেও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কলেজের ইন্টার্নাল সোর্স থেকে দিতে হয়। এইটা হলো একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফি নির্ধারণ করতে হয়। এইটাই তাদের মূলত আপত্তি। কিন্তু এইটা ছাড়া আমরা ক্লাস পরীক্ষা কিছুই তো নিতে পারব না। আমরা যে কয়েকজন শিক্ষক আছি কলেজ চালানো সম্ভব না।’