শরতের ঝলমলে আকাশে রোদ ছায়ার লুকোচুরি। জগতের এই অপার সুন্দরের মাঝে খানিকবাদে রোদের যে গল্প- তা কখনো রুক্ষ,আবার কখনো প্রশান্তির।
অনন্ত সুরের মতো বয়ে চলা এই স্রোতে আকাশে ভেসে থাকা মেঘের ছায়ায় দুলে ওঠা কাশফুল কিংবা শিউলি বিছানো ভোরের হাওয়া যেন বলে যায়-মহামায়া। শরতের এই রূপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এ যেন এক মহা উৎসবের চিঠি। যে চিঠি নিসর্গে ভর করে নিয়ে আসে দেবী দুর্গার মর্ত্যে অবতরণের আনন্দঘন সংবাদ।
প্রকৃতি যখন সাজিয়ে তুলছে আগমনী দুর্গোৎসবের মঞ্চ, সেই ডাক পৌঁছে যায় প্রতিমা কারিগরদেরও কানে। মাটির গায়ে তুলির টানে, কাঠামোর বাঁধনে গড়ে উঠছে মহামায়ার প্রতিমা, যার রূপে আর অলঙ্কারে কয়েকদিন পর ধরা দেবে মানুষের ভক্তি আর আরাধনা।
আরও পড়ুন: শুভ মহালয়া রোববার, ছুটি নিয়ে যা জানা গেলো
অন্যদিকে, পুরান ঢাকার বনেদি বাড়িগুলোতেও দেবী দুর্গাকে বরণে চলছে সাজসাজ রব। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা ঐতিহ্যের রঙিন আবেশ তাই ছড়িয়ে পড়েছে বাড়িরউঠোনে, ঘরের প্রতিটি কোনে। আর কিছুদিন পরই ঢাক–ঢোল আর শঙ্খের ধ্বনিতে প্রাণ পাবে সেই বংশপরম্পরায় বোনা জীবন্ত সংস্কৃতি।
আবহমান কাল ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব শুধু ভক্তি নয়, চিরায়ত সংস্কৃতির সাথে সন্ধিও এই উৎসবের প্রধান চরিত্র। তাইতো প্রকৃতি, শিল্প আর ঐতিহ্যের মিলনের দুর্গোৎসবের জন্যে এতো দীর্ঘ অপেক্ষা।