মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তার নিথর দেহ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ মহাকালি গ্রামে নেয়া হয়। ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ পৌঁছালে এলাকায় স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। পুরো গ্রামেই চলে শোকের মাতম।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে দুবাইয়ে খুন হন ওই ব্যবসায়ী।
এ দিকে এই ঘটনায় দুবাইয়ে পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জেও হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুবাই থেকে কবে আসবে ৫ বাংলাদেশির মরদেহ?
নিহতের স্ত্রী লামিয়া ইসলাম ঊর্মি জানান, দুবাইয়ে শুরুতে চাকরি করলেও মৃত্যুর আট মাস আগে শাওন শুরু করেন রেস্তোরাঁ ব্যবসা। পাশাপাশি গুদাম ভাড়া নিয়ে রাখি ব্যবসাও করছিলেন।
ওই ব্যবসার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে বিরোধ নিরসনে স্থানীয়ভাবে ভিডিওকলে সালিশও হয়। রাখি ব্যবসায় পাওনা বাবদ ১০ লাখের জায়গায় শাওনকে ৮ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া রেস্তোরাঁ ব্যবসায় আরও ৭ লাখ টাকা পেতেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজিব দে জানান, দুবাইয়ে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দেশে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আদালতের আদেশে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিহতের মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল স্কুলছাত্র
এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী নৈরপুকুরপাড় গ্রামের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দুবাই পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাহবুব আলম স্বপন জানান, হত্যার সুষ্ঠু বিচারে লড়াই চলছে। মঙ্গলবার বিকেলে নামাজের জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে শাওন ব্যাপারীর দাফন সম্পন্ন হয়।