দুদকের মামলায় বেকসুর খালাস লুৎফর রহমান বাদল

৩ সপ্তাহ আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সংগঠক লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

 

রমনা থানায় ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া ওই মামলায় বাদল ও তার স্ত্রী সোমা আলম রহমানের নামে থাকা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করেছিল দুদক। ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট এই মামলায় তিনি স্থায়ী জামিন পান। প্রায় এক বছর দুই মাস পর আজ আদালতের রায়ে তিনি পুরোপুরি খালাস পেলেন।

 

রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দেন, তৎকালীন সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে হয়রানি করেছে। আরাফাত রহমান কোকোর ব্যবসায়িক অংশীদার ও তার পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। আদালতের ভাষায়, বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে আগের সরকার তাকে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছে।

 

আরও পড়ুন: এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা পাবজি মোবাইল টুর্নামেন্টে রানার্স-আপ হলো ‘জেনেসিস XIVIT’

 

ব্যবসায়ী বাদলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দীন রায় ঘোষণার পর জানান, ২০১৭ সালে দুদক তার মক্কেলকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল। সে সময় লুৎফর রহমান বিদেশে থাকায় তার স্ত্রী সোমা আলম রহমান আদালতে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।

 

আইনজীবী আরও জানান, আদালতে মোট ৬৭টি দলিল জমা দেওয়া হয়, যেখানে সব স্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আগের সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ থাকায় লুৎফর রহমান বাদল তখন দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু আইনের প্রতি আস্থা রেখে তিনি ফিরে এসে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ভিসা জটিলতায় ২৪ কোটি টাকার টুর্নামেন্ট খেলতে পারছেন না গলফার সিদ্দিক

 

আইনজীবীর ভাষায়, লুৎফর রহমান বাদল আশা করছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্যান্য হয়রানিমূলক মামলাগুলোতেও তিনি আদালতের কাছ থেকে একইভাবে ন্যায়বিচার পাবেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন