সোমবার (০৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকালে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদেরকে হাজির করে এ আবেদন জানানো হয়।
১ জানুয়ারি আলাদা তিনটি আবেদনে তাদের গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করে দুদক। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। ওইদিন আদালত ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলককে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।
ওই আবেদনে বলা হয়, আসামি পলক যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তিনি রুজু করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১ এর মামলা নং ০৫, ধারা : দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪/২) ও ৪০৩) তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (৫৭২) এর এজাহারভুক্ত আসামি। জেলহাজতে অন্তরীণ এজাহারনামীয় বর্ণিত আসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
জ্যোতিকে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
আবেদনে বলা হয়, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান (জ্যোতি), তার বাবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯,৮৯,৭৮,৫০২/ টাকা মূল্যের জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ ভোগ দখলে রাখা এবং তার নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে নিজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৪,৭৭,৫৭,৫৭২/- টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭/১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আর হেনরীকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
আবেদনে বলা হয়, আসামি হেনিরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক অসদাচারণ এর মাধ্যমে ৫৭,১৩,০৭,২২৩/- (সাতান্ন কোটি তের লাখ সাত হাজার দুইশত তেইশ) টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগ দখলে রাখায় এবং ৩৫টি ব্যাংক একাউন্টে ২০০২,৬৬,৬৬,৫৭৭/- (দুই হাজার দুই কোটি ছেষটি পক্ষ ছেষট্টি হাজার পাঁচশত সাতাত্তর) টাকার এবং ৪১৩,৭৮,০০,০৪৬ (তের কোটি আটাত্তর লক্ষ ছেচল্লিশ) মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ 'দুর্নীতি ও ঘুষ' সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর/স্থানান্তর। হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় সূত্রোস্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
]]>