বিসিবি নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে শুরু থেকেই। এর আগে বিগত আওয়ামী লিগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে তৃতীয় বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের রেখেই ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন। নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি সভাপতি থাকার সময় বিতর্কিত ১৮টি ক্লাব তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের বৈতরণী পার হয়েছিল লিগ না খেলেই। তিনটি ক্লাব পরে আবার তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে নেমে যাওয়ায় এদের মধ্যে কাউন্সিলর হওয়ার মতো ক্লাব ছিল ১৫টি।
আরও পড়ুন: 'টেস্ট স্পেশালিস্ট' তকমায় আক্ষেপ সাদমানের
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচনের কথা থাকলেও হাইকোর্টের এই নির্দেশনার ফলে ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলররা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সংশ্লিষ্ট ক্লাবও রয়েছে। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে বোর্ডের নির্বাচনে সক্রিয় ছিলেন।
এই ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপ নিয়ে শুরুতে বিতর্ক ছিল। খসড়া ভোটার তালিকায় তাদের রাখা হয়নি, পরে ক্লাব কর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তাদের কাউন্সিলরশিপ ফিরিয়ে দেয়। মনোনয়ন গ্রহণ ও বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হওয়ার পর এখন আদালতের নির্দেশে তাদের বাদ পড়তে হলো।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের দাবি, ট্রফি নিয়ে পালিয়েছেন নাকভি
যে ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলররা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, সেগুলো হলো- গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব, এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমী, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমী, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমী, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমী, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব এবং আলফা স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলরদের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।
ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমীর কাউন্সিলর হিসেবে ইফতেখার রহমান মিঠুরও বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। আদালতের এমন নির্দেশের পর নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
]]>