দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে এনসিপি নেত্রীর কাছে চাঁদা দাবি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৪

৫ দিন আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসা চক্রের মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

রোববার (২৯ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

 

তিনি বলেন, গত ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি গোচর হয়। এরইমধ্যে দুদক পোস্টটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।  

 

এরপর পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মরত একজন পরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় গত রাতে প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে চক্রের মূলহোতা সেলিমসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন /স্ত্রী-সন্তানসহ আ.লীগ নেতা বেন্টুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-পিরোজপুর জেলার আ. ছাত্তার কবিরের ছেলে মো. সেলিম (৪০) ও বাগেরহাটের মো. মজিবর রহমান শেখের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (৪০)। তারা দু’জন বর্তমানে ঢাকার মুগদা থানার মান্ডা গ্রীন মডেল টাউনে বসবাস করছেন। এ ছাড়া ঢাকার মুগদা থানার দক্ষিণ মান্ডার মো. আব্দুল কাশেমের ছেলে মো. আতিক (৩৮) ও আব্দুর রবের ছেলে মো. আব্দুল হাই সোহাগ (৩৫)।

 

দুদক মহাপরিচালক জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি সনি ডিজিটাল এইচডি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুইটি পাসপোর্ট, একটি সমকাল পত্রিকার নামে আইডি কার্ড, সমকাল, এশিয়ান টিভি, এফসি টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পথধারী সোহাগ পাটোয়ারী নামীয় ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ছয়টি মোবাইল সেট, ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

 

প্রতারকচক্রটি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল। চক্রটির বিরুদ্ধে এরইমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন