কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, তিনি (ট্রাম্প) আসলে এ বিষয়টিকে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন যাতে তার উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন যেন গোপনে আগামীকাই ইরানে হামলা করা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন ল্যাভিট বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নির্ধারণ করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে ল্যাভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে আবার না-ও হতে পারে তার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমার সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন: ইরানে যুক্তরাষ্ট্র হামলা করবে কিনা সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে: হোয়াইট হাউস
গত সপ্তাহে তেহরানে ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আগামীকাল (শুক্রবার) জেনেভায় বৈঠকে বসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
বিশারা বলেন, ইরানি ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার ফলাফল কোনদিকে যেতে পারে তা দেখার জন্যও হয়তো সিদ্ধান্তও স্থগিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি ইরানের
তিনি বলেন, তিনি (ট্রাম্প) ইউরোপীয়দের কিছুটা সময় দিচ্ছেন যাতে সবাই মুখ বাঁচাতে পারে।
ট্রাম্প এর আগে রাশিয়াকেও শান্তি চুক্তির জন্য দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। যদিও সেই সময়সীমা প্রায় সাড়ে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে।
ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করার জন্য দুই সপ্তাহ সময় আছে, অন্যথায় নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। যদিও তিনি এখনও কোনো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেননি।
]]>