গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাহিন সিকদার (৪৩), মো. জাফর জোমাদ্দার (৬১), মো. রুহুল আমীন খান (৪৮) ও মো. রিপন মিয়া ওরফে রিপন শরিফ (৪২)। তারা সবাই পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গত ২৭ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থেকে প্রধান আসামি শাহিন সিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাকি তিনজনকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তরা একধরনের প্রতারণামূলক ম্যাগনেটিক পিলার ও পাওয়ার কয়েন ব্যবসায় জড়িত ছিল। এই অবৈধ ব্যবসায় লাভের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
হত্যার রাতে তারা আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গামছা ও রশি দিয়ে তাকে বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে প্রমাণ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ মা-বাবার
আসামি শাহিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত রশি, গামছা ও বালিশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ৭ এপ্রিল রাতে স্ত্রীর সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আলমগীর তালুকদার। ১২ এপ্রিল সকালে স্ত্রী আমেনা বেগম ও ছেলে বাড়িতে গিয়ে দরজা তালাবদ্ধ ও ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার দিনই সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আমেনা বেগম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, ঘটনার শুরু থেকেই আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছি। মূল আসামিসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীরা যতই চতুর বা শক্তিশালী হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।