২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থমকে যায় গাজার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আগে গাজায় ছিল ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। যেখানে পড়াশোনা করতেন দুই লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী।
কিন্তু সংঘাত সেই শিক্ষা অবকাঠামোকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেয়। প্রাণ হারান বহু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎ–ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতায় অনলাইন শিক্ষাও ছিল প্রায় অসম্ভব।
যুদ্ধ, ধ্বংসস্তূপ ও বাস্তুচ্যুতির পর খুললো গাজার আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। আবারও ক্যাম্পাসটি মুখরিত হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় নতুন শিক্ষার্থীদের ভিড়ে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ২ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদ বলেন, এই দুই বছর ছিল যুদ্ধ আর ভয়ের সময়। পড়াশোনা অনলাইনে করা খুবই কঠিন ছিল। এখন আবার সরাসরি ক্লাসে ফিরতে পারছি, এটা আগের চেয়েও ভালো লাগছে।
ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস। এখনো সেখানে দখলদার বাহিনীর তাণ্ডবের চিহ্ন। গুলি ও গোলার দাগে জর্জরিত ভবনের মেরামতের কাজ চলছে। চিকিৎসা অনুষদে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি থেকে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই চলছে পুনর্গঠনের চেষ্টা।
আরও পড়ুন: গাজা বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র মোহাম্মদ বলেন, দুই বছর পর আবার ক্লাসে ফেরা মানে আমাদের জীবনে নতুন আশা ফিরে পাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় এখনও টিকে আছে, মানে আমরাও টিকে আছি, এটাই নতুন জীবনের শুরু।
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, ধ্বংসের ভেতর থেকেও গড়ে উঠছে নতুন স্বপ্ন। গাজার আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনরায় খোলার এই পদক্ষেপকে শিক্ষা নয়, জীবনেরই পুনর্জাগরণ বলে মনে করছেন তারা।
তথ্যসূত্র: নিউজ ৫
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
১০







Bengali (BD) ·
English (US) ·