এক তালাক দিলে যদি সে ঠিক হয়ে যায়, তার সঙ্গে ঘর সংসার করার অনুমতি রয়েছে। দুই তালাক দিলে, মীমাংসা করে ফের বিয়ে করতে পারবে। তবে তিন তালাক দিয়ে দিলে ফের বিয়ে করলেও হবে না। তাকে ফিরিয়ে নেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ইসলামি বইমেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন
এগুলো স্বাভাবিক নিয়ম। আর স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার জন্য জরুরি হল, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া। যদি তালাকের অধিকার স্বামী স্ত্রীকে না দিয়ে থাকে, তাহলে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারবে না। অধিকার বা ইজন এটা বিয়ের সময় দেয়া হয়।
স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয়। আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাজি বা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খুলা তালাক বলে।
স্ত্রীকে দুই তালাক দিলে নতুন করে বিয়ে করতে হয়?
না, নতুন করে বিয়ে করতে হবে না। স্ত্রীকে মৌখিক বা স্ত্রীসুলভ আচরণ তথা সহবাস করার দ্বারাই রুজু হয়ে হয়ে যাবে। তবে ভবিষ্যতে আর আপনি এক তালাকের মালিক থাকবেন।
তালাক পতিত হওয়ার জন্য কি সাক্ষীর উপস্থিতি জরুরি?
অনেকের ধারণা, স্বামী তালাকের সময় কোনো সাক্ষী না রাখলে তালাক পতিত হয় না। এটাও মানুষের মনগড়া মাসআলা। সাক্ষীর প্রয়োজন তো হয় বিবাহের সময়। তালাক পতিত হওয়ার জন্য এক বা একাধিক কোনো সাক্ষীরই প্রয়োজন নেই। স্বামী যদি রাতের অন্ধকারে একা একা বসে তালাক দেয় তাহলেও তালাক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শতাধিক লিটলম্যাগ নিয়ে ইসলামি বইমেলায় তরুণদের উচ্ছ্বাস
গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে কি তালাক পতিত হয় না?
অনেকে এই মাসআলা বানিয়ে রেখেছে যে, গর্ভাবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হলে তা কার্যকর হয় না। এটিও সম্পূর্ণ অবাস্তব কথা। গর্ভাবস্থায় হোক বা অন্য যেকোনো অবস্থাই হোক তালাক দেয়া হলে তা পতিত হয়ে যায়। এজন্য সঠিক মাসআলা শেখা সকলের দায়িত্ব। অজ্ঞতার ধোঁকায় থাকার কারণে হারাম কখনো হালাল হতে পারে না।
]]>