দুই উপজেলার মিলনের সেতু ভাঙা, বাঁশের সাঁকোই ভরসা!

৯ ঘন্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভুল্লি নদীতে ভেঙে পড়ে আছে সেতু। ৮ বছর ধরে ভেঙেছে সেতুটি। কিন্তু তা মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেই। যে কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পাশে বাঁশের সাঁকোই পারাপারের একমাত্র ভরসা পথচারীদের।

এ সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এখানে সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। কর্তৃপক্ষের দায়সারা জবাব মন্ত্রণালয়ে মূল্যায়নপত্র অনুমোদন হলেই সেতুর কাজ শুরু হবে।


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভুল্লি নদীতে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। এতে পাশের নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় খোকশাবাড়ী ইউনিয়নবাসীর। সেই থেকে প্রতি বছর এলাকাবাসী ভাঙা সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ হেঁটে, ভ্যান, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েসহ ১২ সড়ক-সেতুর নাম পরিবর্তন

এদিকে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান দুর্ভোগ লাঘবে অতিসত্তর ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।


খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরকার বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সেতু নিয়ে আলোচনার পর এলজিইডিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে চিঠি দেয়া হয়েছে।

টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর মন্ত্রণালয়ে মূল্যায়ন প্রস্তাব অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান।

আরও পড়ুন: সিলেট শেরপুর সেতু বন্ধ থাকবে ১০ ঘন্টা


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভুল্লি নদীর ওপর ২০১৭ সালে সেতুটি বন্যায় ভেঙে যায়। ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি মূলত নীলফামারী সদর ও খানসামা উপজেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন