দীর্ঘতম দাম্পত্য জীবনের স্বীকৃতি পেলেন মিয়ামির দম্পতি, কত বছরের বিবাহিত জীবন?

২ সপ্তাহ আগে
জীবনের ওঠানামা, যুদ্ধের ভয়াবহতা আর সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টিকে থাকা এক ভালোবাসার নাম—এলেনর ও লাইল গিটেন্স। এই মার্কিন দম্পতি পূর্ণ করেছেন একসঙ্গে পথ চলার ৮৩ বছর।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা লংজেভি-কোয়েস্ট তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বিবাহিত দম্পতি হিসেবে।এলেনরের বয়স এখন ১০৭ বছর, আর স্বামী লাইলের ১০৮। এখনও একে অপরের পাশে থেকে আনন্দে দিন কাটান তারা। 
 

লাইল বলেন,আমরা এখনো একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। হয়তো এই ভালোবাসাই আমাদের দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য।’

 

১৯৪১ সালে এক কলেজে বাস্কেটবল খেলার সময় তাদের পরিচয়। লাইল তখন ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির হয়ে খেলতেন, আর এলেনর ছিলেন দর্শক। সেই দেখা থেকেই শুরু হয় জীবনের দীর্ঘতম প্রেমকাহিনি।পরের বছর ১৯৪২ সালের ৪ জুন, লাইল সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ থেকে তিন দিনের ছুটি পেয়ে বিয়ে করেন এলেনরকে।

 

আরও পড়ুন: নবীজির দাম্পত্য জীবন আমাদের জন্য অনন্য আদর্শ

 

কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই লাইল চলে যান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালিতে। এলেনর তখন অন্তঃসত্ত্বা, একা চলে যান নিউইয়র্কে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে থাকতে। নিয়মিত লাইলকে চিঠি লিখতেন, যদিও সেনাবাহিনী তখন প্রতিটি চিঠিই সেন্সর করত। সেই সময় কেটেছে অপেক্ষা আর আশায়।

 

যুদ্ধ শেষে এই গিটেনস দম্পতি নিউইয়র্কে ফিরে আসেন। একসঙ্গে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেন, দু’জনে উত্তীর্ণও হন। তারপর শুরু হয় নতুন জীবন। সময় পেলেই ঘুরে বেড়াতেন, ভ্রমণ করেছেন নানা দেশে—এর মধ্যে এলেনরের প্রিয় স্থান গুয়াদেলোপও রয়েছে।
বয়স বাড়লেও শেখার আগ্রহ হারাননি এলেনর। ৬৯ বছর বয়সে তিনি ফোর্ডহাম ইউনিভার্সিটি থেকে শহুরে শিক্ষাবিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তারা মেয়ের কাছে থাকার জন্য মিয়ামিতে চলে আসেন।

 

আরও পড়ুন: পাত্রীর যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলে ইসলাম

 

এখনও প্রতিদিন একে অপরের পাশে বসে হাসেন, কথা বলেন, পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করেন। লাইল বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু করেছি, অনেক কিছু দেখেছি। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আজও আমরা একসঙ্গে আছি—একই ভালোবাসা নিয়ে।’
 

৮৩ বছরের এই দাম্পত্য জীবনের গল্প যেন ভালোবাসা, ধৈর্য আর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার এক জীবন্ত প্রমাণ— যা হার মানিয়েছে সময়কেও।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন