দিনাজপুরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও নেই ডুবুরি দল!

৩ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুর জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও, পুরো জেলায় নেই একটি ডুবুরি দলও। ফলে নদী, পুকুর বা জলাশয়ে কেউ ডুবে গেলে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে। ডুবুরি না থাকায় প্রতিবারই রংপুর থেকে আনতে হয় ডুবুরি দল, যার দূরত্ব প্রায় ৭৬ কিলোমিটার। এতে সময়ক্ষেপণ হয়, আর সেই বিলম্বই হয়ে উঠছে অনেক সময় জীবন ও মৃত্যুর ব্যবধান।

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থাকলেও, কোথাও নেই ডুবুরি ইউনিট। অথচ দিনাজপুর সদর স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত এবং এখানে ছয়টি উদ্ধারযানে সজ্জিত, যার মধ্যে রয়েছে আগুন নির্বাপক ইউনিট, ফায়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও ডুবুরি দলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের অভাব চোখে পড়ার মতো।


ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত ৬ মাসে নদী ও পুকুরে পানিতে ডুবে ২৭টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। প্রত্যেকটি ঘটনায় সময়মতো ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার তৎপরতায় বিলম্ব হয়, যা প্রাণহানির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানান, ‘দিনাজপুর সদর স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণির হওয়ায় এখানে একটি ডুবুরি ইউনিট থাকা অত্যাবশ্যক। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


আরও পড়ুন: দিনাজপুরে চিকিৎসককে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেফতার ১০


দিনাজপুর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য মেহেরুল্লাহ বাদল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের মতো একটি জরুরি বিভাগে ডুবুরি না থাকাটা অপ্রত্যাশিত। এর ফলে দিনাজপুরের মানুষ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দ্রুত এই ঘাটতি পূরণে পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’


জেলার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ১৩টি স্টেশন এবং একটি ‘এ’ শ্রেণির সদর স্টেশন থাকা সত্ত্বেও ডুবুরি না থাকা প্রশাসনিক অবহেলারই প্রমাণ। তারা দ্রুত একটি স্থায়ী ডুবুরি ইউনিট স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন