রোববার (৬ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে বাড়ির পাশের মোকছেদুলের পুকুরে মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের জানান, শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বড় ভাই আমিনুরের সঙ্গে মাছ ধরে বাসায় ফেরে রানা। এরপর গোসল করতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়, কিন্তু আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। রবিবার সকালে পুকুরপাড়ে রানার টি-শার্ট পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর ওই পুকুরে রানার মরদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
রানার বাবা ওবায়দুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'স্ত্রী বলেছিল, রানা গোসল করতে গেছে। বাড়ি না ফেরায় সারারাত খুঁজেও পাইনি। সকালে চোখের সামনে পুকুরে ছেলের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে বুকটা ছিঁড়ে গেল।'
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে রান্নাঘর থেকে শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এলাকাবাসীর দাবি, যেখানে মরদেহ পাওয়া গেছে, সেই পুকুরে পানি ছিল মাত্র কোমর সমান, আর রানা সাঁতার জানত। ফলে তারা এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলেই মনে করছেন।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'