দিন-রাত নাই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং গাইবান্ধায়

২ সপ্তাহ আগে
গাইবান্ধায় দিন-রাত বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস থাকলেও বাস্তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সাত উপজেলার মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশোনা, স্বাস্থ্যসেবা সব ক্ষেত্রেই পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।

জেলায় নেসকো ও গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় থাকা গ্রাহকরা জানান, ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎনির্ভর যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, ব্যবসায়িক কার্যক্রম থমকে যাচ্ছে, আর প্রচণ্ড গরমে বাসাবাড়িতে অবস্থান করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।

 

পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা গ্রামের গ্রাহক আরিফ মিয়া বলেন, ‘দিনভর বিদ্যুৎ থাকে না, সন্ধ্যার পর তো অবস্থা আরও খারাপ। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে থাকা দায় হয়ে গেছে।’

 

তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের মমিন মিয়া বলেন, ‘বিদ্যুৎনির্ভর ব্যবসা করছি। বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। বিল ঠিকমতো দিলেও সুবিধা মিলছে না।’

 

আরও পড়ুন: রাতভর অভিযানে বিপুল অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক

 

গাইবান্ধা জেলা শহরের সালিমার সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আউয়াল মিয়া বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বেচাকেনা নেই, বসে বসে সময় কাটছে।’

 

এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় সিডিউল করে কিছু সময় লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।’

 

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নেসকো এবং উপজেলার ৮১টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ভোগান্তি বাড়ছেই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন