চোখে ছিল রঙিন স্বপ্ন, বিদেশে গিয়ে বদলে দেবে সংসারের ভাগ্য। এখন সেই চোখেই শুধুই হতাশা বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার যুবক তরিকুল ইসলামের।
সার্বিয়া যাওয়ার স্বপ্নে খুলনার এক এজেন্সিকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। কাগজপত্র আর প্রতারণার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরায় ওই প্রতিষ্ঠান তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে। এর জবাব দিতেই খুলনার সোনাডাঙা থানায় হাজির হয়েছেন তরিকুল।
তিনি বলেন, ‘তাদের অফিসে যেতে যেতে আমি ক্লান্ত। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে, কারণ আমি তাদের প্রতারণার বিরুদ্ধে কথা বলছি, সবাইকে সতর্ক করছি। থানা থেকে আমার অঙ্গীকারনামা নিয়েছে, পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যেন কোনো ধরনের প্রচার না করি।’
খুলনার রাজিব মোল্লাকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় কম্বোডিয়ায়। এরপর জঙ্গলে আটক থেকে ১৭ দিন পর দেশে ফেরেন তিনি।
রাজিব বলেন, ‘দালালকে বিশ্বাস করে বিদেশে গিয়ে মরার হাত থেকে ফিরে আসলাম।’ শুধু তরিকুল আর রাজিব নন, এমন হাজারও স্বপ্নভঙ্গের গল্প ছড়িয়ে রয়েছে নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: খুলনার আদালতে ৭৫ হাজার মামলার জট: বিচারের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত বছর খুলনা থেকে বিদেশে গেছে ৭ হাজার ৫৪৭ জন। তবে অবৈধ এজেন্সি আর স্থানীয় দালালের ফাঁদে পড়ে কেউ হারিয়েছেন সর্বস্ব, কেউ পৌঁছে গিয়েও পড়েছেন ভয়ানক বিপাকে।
গত এক বছরে খুলনায় এমন প্রতারণার ১৪০টি অভিযোগ এসেছে। এরমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে মাত্র ৩০টি।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা শেখর কুমার শীল বলেন, খুলনায় নেই কোনো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি। বৈধপথে নিরাপদে বিদেশে যেতে হলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সাহায্য নিতে হবে।’
]]>