এ বছর মাঠে কৃষকদের খরচ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে পোকামাকড়ের আক্রমণ, রোগবালাই প্রতিরোধ, ও সার-বালাইনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। নেত্রকোনার আটপাড়া এলাকার কৃষক শহিদ মিয়া জানান, তার রোপা আমন আবাদে প্রতি কাঠা জমির জন্য ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে।
এছাড়াও, মাঠে কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন অনেকে। মো. আবুল মিয়া, একই উপজেলার একজন কৃষক, বলেন, 'আমরা মাঠে ঠিকমতো পরামর্শ পেলে খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব ছিল। তবে এ বছর সমস্যাগুলো বেশি ছিল এবং সেগুলো সঠিক সময়ে সমাধান করতে পারিনি।'
ধান কাটার খরচ বাঁচাতে জাহাঙ্গীর মিয়া নামে এক কৃষক পরিবার-পরিজন নিয়ে নেমেছেন মাঠে। তবু তার মনে দুশ্চিন্তা, সব খরচ উঠবে তো? অনেকেই আরও অভিযোগ করছেন, মাঠে কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা না পাওয়ায় সময়মতো সঠিক পরামর্শ পাননি তারা। ফলে অনেক ক্ষতি এড়ানো যেত, যদি নিয়মিত তদারকি থাকত।
কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবশ্য ফলন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, অতিরিক্ত সার ও রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে না পারলে খরচ বাড়বে এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জৈব সার ও জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোপা আমনে ভালো ফলনের আশায় রাজশাহীর কৃষক
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিরুল ইসলাম জানান, কৃষক যেন সহজে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে কৃষকবান্ধব মূল্য নির্ধারণ করা গেলে কৃষকেরা লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
জেলার কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর ১০ উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাত ১৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর এবং বাকি সব উফশী জাত। গেল এক সপ্তাহে জেলায় ৫৬০ হেক্টর জমির ধান কাটাও সম্পন্ন হয়েছে।

১ দিন আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·