দাবি মেনে নেয়ায় চবিতে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার

১ সপ্তাহে আগে
দুই দফা দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এন. এম. সাজ্জাদুল হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।


সেশন জট নিরসন ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছিলো  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী।


শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২ টা ১৬ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি দাবি নিয়ে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা। এর আগেও অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে প্রশাসনের শরণাপন্ন হলেও কোনো আশানুরূপ সমাধান পায়নি বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান থেকে পিছ পা না হওয়ার ঘোষণা প্রদান করে।পরবর্তীতে বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে শ্রেণি প্রতিনিধিদের আলোচনার মাধ্যমে এই অনশন কর্মসূচি শেষ হয়। এসময় দুটি দাবিই অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:  চবিতে স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে



শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

১। সেশজট নিরসন ও সর্বোচ্চ ৪ মাসের ভেতরে ক্লাস ও পরিক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার শেষ করা।

২। কমপক্ষে আগামী ১২ মাস বা ৩ সেমিস্টারের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে ক্লাস শুরু, ফ্রম ফিলআপ, পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা ও ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে দেয়া। 


অনশনরত শিক্ষার্থীরা ছিলেন, ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তারেক মাহমুদ, হাফসা কাওসার মিশু ও আবুরাজিন মন্ডল, ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ জাবেদ ও বখতিয়ারুল, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পবিত্রতা রানী, মিফতাহ জাহান মিম ও শ্রুতি রাজ, ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আনাম ও ওয়ালিউল্লাহ, ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাধীন বসু মিয়া ও ক‍্যএসিং মার্মা।
 

রোববারের (২৫ মে) মধ্যে প্রশাসন থেকে এ সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রকাশ করার আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন