বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে পুরোদমে না হলেও দূরপাল্লার কিছু কিছু গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া ঘোষণায় জানানো হয়, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: গুলিতে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
তবে, জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল আছে। অবশ্য অবরোধ স্থগিত হলেও এখনো জনমনে আতংক রয়েছে। অবরোধ না থাকলেও খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে। সেনা টহলের পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
এ দিকে খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. ছাবের এখনো নিশ্চিত করেননি।
তিনি বলেন, রিপোর্টটি পুলিশের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি থমথমে, ‘নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, অবরোধ চলাকালে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় তিনজন নিহত ও বহুজন আহত হন। গুইমারায় রামসু বাজারসহ বহু দোকানপাট, বসতবাড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।