এদিকে হাঁড়িভাঙ্গা আমকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরতে গবেষণা ও রফতানিমুখী উদ্যোগ নিচ্ছে রংপুর জেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাটে আমচাষি ও পাইকারদের ব্যস্ত সময়। হাঁড়িভাঙ্গা আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত এ বাজারে দিনভর চলে আমের লেনদেন।
পদাগঞ্জ এলাকার আম ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের আকার কিছুটা ছোট হলেও ফলন আশানুরূপ। গরমের কারণে দশ দিন আগেই আম পাড়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে আকার ভেদে প্রতিমণ আম এক হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাপমাত্রা কমলে আমের বাজার আরও চাঙা হবে।
বাস টার্মিনাল এলাকায় আম কিনতে আসা আরিফুল হক বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমের স্বাদই আলাদা। আমি আত্মীয়-স্বজনদের কুরিয়ারে পাঠানোর জন্য কিনেছি। দাম স্বাভাবিক, তবে আরও একটু কম হলে ভালো হতো। পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে, তাই বেশি করে কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি।
অনলাইনে আম বিক্রেতা তরুণ উদ্যোক্তা জারিফ মাহমুদ বলেন, কয়েক বছর ধরে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাঁড়িভাঙ্গা আম সরবরাহ করছি। এবার মৌসুমের শুরুতেই পাঁচ মণ আমের অর্ডার পেয়েছি। আকারভেদে এক হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার টাকা দরে অর্ডার নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় পাঠাতে ক্যারেট, প্যাকিং ও কুরিয়ার খরচ পড়ছে এক হাজার টাকা, ঢাকার বাইরে এক হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঘোষিত তারিখের আগেই রংপুরে হাঁড়িভাঙা বাজারজাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আম নিয়ে গবেষণা চলছে এবং রফতানির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আমকে আরও সুস্বাদু ও গুণগতমানসম্পন্ন করে তুলতে কাজ করছি। শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এই আমকে জনপ্রিয় করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আম বাজারজাত করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে হাঁড়িভাঙ্গা আম থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।