দশমিনায় শিক্ষক দম্পতিকে লাঞ্ছিত, ইউএনওর অপসারণ দাবি

৩ সপ্তাহ আগে
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় শিক্ষক দম্পতিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসানের প্রকাশ্যে ক্ষমা ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কয়েক শ মানুষ উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হন। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ইউএনও ইরতিজা হাসান দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এহসানুল হককে অফিসে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করেন। একই দিন রাত দুইটার দিকে শিক্ষক দম্পতিকে ঘুম থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক ‘মীমাংসা হয়েছে’ মর্মে ভিডিও সাক্ষাতকার ধারণ করা হয়।

 

এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রতিবাদে সকালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

 

আরও পড়ুন: ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে পদ হারালেন জামায়াত নেতা

 

বিক্ষোভকারীরা ইউএনওর প্রকাশ্যে ক্ষমা এবং আজকের মধ্যেই দশমিনা থেকে তার অপসারণের দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন, এর আগেও ইউএনও দুই শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। নিয়মিত অফিসে না গিয়ে বাসায় সময় কাটানোর কারণেও সেবা গ্রহীতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।

 

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইউএনওকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। বিকেলের মধ্যে দাবি না মানলে বাসভবন ঘেরাও করা হবে।’

 

আরও পড়ুন: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে টানা দ্বিতীয়বার দেশসেরা ইউএনও ইজাজুল

 

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অধিকার কারো নেই। আমি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সড়ক অবরোধ বা বাসভবন ঘেরাও মব জাস্টিসের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যা কাম্য নয়।’

 

ইউএনওর সরকারি ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন