দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করলে পরিণতি ভালো হবে না: ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল

৬ দিন আগে
বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, ‘যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করবেন, দলের ক্ষতি করবেন, যারা জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দূরত্ব সৃষ্টি করবেন তাদের পরিণতি ভালো হবে না। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর জনগণের আস্থা আছে। সেই আস্থার কারণেই আমরা ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে এক মাসের মাথায় পতন ঘটিয়েছি।’

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের দাউদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল।


শ্যামল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাঁচ আগস্টে তাদের কোনো লোক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ায় নাই। শুধু তাই নয়, এই দেশের এবং পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা যে, কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ৩০০ এমপিসহ পালিয়ে গিয়েছেন।’


তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে যদি আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়, সেই পরিণতি ভালো হবে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছে, এ আন্দোলন একদিকে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছে। অন্যদিকে আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছে।’


আরও পড়ুন: 'গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের বিদায় যেমন স্বস্তির, তেমনি একটি শিক্ষা'


খালেদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে যে আন্দোলন করেছি, সে আন্দোলনে জনসাধারণকে নিয়ে একটা ছক ছিল। আজকের ছাত্র-জনতা সেই ছককে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। গণবিস্ফোরণের স্ফুলিঙ্গ জাগিয়েছে। এ আন্দোলনের মূলপটভূমিকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।’


তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন যদি না করতাম, জনগণকে উদ্বুদ্ধ না করতাম, তাহলে এক মাসে এই সরকারের পতন ঘটতো না। আমি আমাদের নেতাকর্মীদের আগেও বলেছি, নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’


বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘আগামীতে যে, নির্বাচন হবে সে নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। ভোটারবিহীন নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন ডামি নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন। জনগণের কাছ থেকে যারা দূরে থাকবে তাদের পরিণতি কখনো ভালো হয় না।’


আরও পড়ুন: ‘হামিদ হক টুক্কু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিয়ে ছিলেন’


তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমন কাজ আপনারা করবেন না। যে কাজ করে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যায়, জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় সেই কাজ করতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে যেন আগামী দিনের নির্বাচনী বৈতরণী পার করা যায়, সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’


তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, ‘আপনারা জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করুণ। আমরা বিভিন্ন সময় শুনতে পাই দলীয় নেতাকর্মীরা অপকর্ম করছেন। আমরা তাদের সতর্ক করে দিতে চাই, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন কেন্দ্রীয়ভাবে চারটি জেলার বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।’


চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, এবিএম মমিনুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি স্বামী মোল্লা সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আলী হোসেন,‌ উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল কাদির, চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আলী ইমরান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন আলমগীরসহ জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন