দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম

২ সপ্তাহ আগে
অবশেষে দুই দশকের অপেক্ষার পর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো মিশরের দ্য গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম। এর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে দেশটির ৫০ হাজারের বেশি ঐতিহাসিক সম্পদ।

মিশরের রাজধানী কায়রোর গিজার পিরামিডের ঠিক পাশেই অবস্থিত এই ‘গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম’। ২০০২ সালে মিশরীয় সরকার আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতা চালু করে, যেখানে ১ হাজার ৫৫৬টি প্রস্তাবের মধ্যে নির্বাচিত হয় আয়ারল্যান্ডের ছোট স্থাপত্য কোম্পানি হেনেগান পেং আর্কিটেক্টস।

 

এরপর প্রায় দুই দশক ধরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বিশাল এই জাদুঘরটি। আরব বসন্ত আর অর্থনৈতিক সংকটে বহুবার পিছিয়ে গেলেও অবশেষে খুলছে জাদুঘরের দরজা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দিয়েছে মিশর সরকার। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় সরকারি ছুটি।

 

আরও পড়ুন: বিশ্বের ৫ অসাধারণ সিরাত মিউজিয়ামের খোঁজে

 

প্রদর্শনী এলাকা ২ লাখ ৫৮ হাজার বর্গফুটে বিস্তৃত, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিউজিয়াম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মিউজিয়ামে ৫০ হাজারের বেশি প্রাচীন নিদর্শন প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে প্যাপিরাস স্ক্রোল, বস্ত্র, সরকোফ্যাগাস, পটারি ও মমি করা মানবদেহ।

 

আরও থাকছে প্রাচীন মিশরের ৩ হাজার ২০০ বছরের পুরনো রামেসিস দ্য গ্রেটের বিশাল মূর্তি, তুতেনখামেনের সমাধি থেকে পাওয়া ৫ হাজার বস্তু, আর খুফুর পিরামিডের পাশ থেকে উদ্ধার করা ৪,৫০০ বছরের পুরনো কাঠের নৌকা। 

 

প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থী ভিড় করবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। মিশরের ইতিহাস আর গৌরবের সাক্ষী হতে মুখিয়ে আছে সারা বিশ্ব। 

 

আরও পড়ুন: ব্রাজিল জাতীয় দলের মিউজিয়াম ঘুরে দেখলেন আনচেলত্তি

 

আর্কিটেক্ট রোইসিন হেনেগান বলেছেন, ‘আমরা চাইছিলাম দর্শনার্থীরা সংগ্রহস্থলের আকার ও গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হোক।’ মিউজিয়ামের বহিরঙ্গনে সুসজ্জিত বাগান ও উন্মুক্ত চত্বর দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ৩৬ ফুট উচ্চতার রামেসিস দ্বিতীয় মূর্তি আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন