দরবারে হামলায় নিহত রাসেল ছিলেন নুরাল পাগলের ভক্ত

৩ সপ্তাহ আগে
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের পাল্টা সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক।

রাসেল মোল্লা জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। রাসেল মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের কাভার্ডভ্যান চালক ছিলেন।
 

রাসেলের বাবা ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প‌্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজাদ মোল্লা বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকেই গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফে যাওয়া-আসা করত, দরবারকে ভালোবাসত। দরবারে যেত নিয়মিত। রাসেলের দাদা ছিল গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফের ভক্ত।

আরও পড়ুন: দরবারে আগুন-পুলিশকে মারধর, সড়কে পোড়ানো হলো নুরালের মরদেহ

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাসেল গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফে গিয়েছিল। দুপুর পর সেখানে সংঘর্ষ হয় এবং অনেকে আহত হয়।  আমার ছেলের মুখটা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে, পেছনে কুপিয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণে আমার ছেলেটা মারা যায়। আমার ছেলের কি দোষ ছিল? কেনো আমার ছেলেকে মারা হলো? আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’
 

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা বলেন, ‘মামলার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের লোকজন আছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
 

এদিকে নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন।
 

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সে‌লিম বা‌দী হ‌য়ে অজ্ঞাত ৩ হাজার ৫০০ জনের নামে মামলা করে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নুরাল পাগলের মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় যে বার্তা দিলো অন্তর্বর্তী সরকার

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে রাসেল নিহতের পাশাপাশি দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে নুরাল পাগলের মরদেহটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন