দখল হয়ে গেছে বেগম রোকেয়ার জমি, উদ্ধারে উদ্যোগ নেই

২ সপ্তাহ আগে
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া শাখাওয়াতের শুধু পৈতৃক বসতবাড়ি ছিল সাড়ে ৩০০ বিঘা জমির ওপর। অথচ এর মধ্যে টিকে আছে মাত্র ৭২ শতক।

বিগত কোনো সরকারই মহিয়সী এই নারীর পৈতৃক ভূমি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বেগম রোকেয়ার বিরত্বগাথা স্মৃতি সংরক্ষণে বর্তমান সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।


প্রথা ভেঙে নারীদের অধিকার বোধ জাগানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার পাশাপাশি নারীদের আত্মমর্যাদা জাগরণের প্রেরণা হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। 

আরও পড়ুন: জাজিরায় বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে জমি দখলের অভিযোগ


১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এই মহিয়সী নারী। জমিদার পরিবারে জন্ম নেয়া বেগম রোকেয়ার বিশাল পৈতৃক জমি, বাস্তুভিটা সবই ধীরে ধীরে দখল হয়েছে। অবশিষ্ট ৭২ শতকের মধ্যে ৪০ শতকে গড়ে উঠেছে বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, ২ শতকে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র আর ৩০ শতক বসতভিটা হিসেবে সংরক্ষণ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। 


বেগম রোকেয়া তার নিজের লেখা বইতে উল্লেখ করেছিলেন, তাদের পৈতৃক বাড়িটি শুধু ছিল সাড়ে ৩শ’ বিঘা জমির ওপর। তবে বাস্তবে ৩০ শতক জমিতে সেই বাড়ির কিছু স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। 


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বেগম রোকেয়া নারীদের অনুপ্রেরণা। নারীদের মাথা উঁচু করে নিজেদের অধিকার আদায় করতে শিখিয়েছেন তিনি। শিক্ষার্থীরা বেগম রোকেয়ার চর্চাসহ তার বসতভিটা উদ্ধারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় অবৈধ জায়গা দখলমুক্ত করে শিশুপার্ক নির্মাণ

বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও রোকেয়া গবেষক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘সরকারের উচিত রোকেয়ার পৈতৃক জমি উদ্ধার করে বেগম রোকেয়া স্টেট গঠন করা।’


রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, বেগম রোকেয়ার পৈতৃক জমি উদ্ধারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন