দক্ষিণখানে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

৩ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার নামাপাড়ায় নকশা বহির্ভূত এমন সাতটি নির্মাণাধীন ভবনে ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রাজউক। এসময় নকশা বহির্ভূত বেশ কয়েকটি ভবনের আংশিক অপসারণসহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়। এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় একটি ভবনকে।

অনুমোদন নেয়া চাইল্ড কেয়ারের অথচ সরেজমিনে দেখা যায় আবাসিক ভবন। মানা হয়নি ভবন নির্মাণে অনুমোদিত নকশাও। এক দফা অভিযান পরিচালনার পরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে যাওয়ায় ফের অভিযানে নামে রাজউক।


রোববার (১৫ জুন) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার নামাপাড়ায় নকশা বহির্ভূত এমন সাতটি নির্মাণাধীন ভবনে ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন।


এ সময় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভয়েড ও ভবনের সামনে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত রাস্তা না রাখায় বেশ কয়েকটি ভবনেরই নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে ফেলা হয়। এসময় একটি ভাবনকে এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাসহ সবকটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করে রাজউক।


ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে ভবন মালিকদের নিয়ম মেনেই ভবনের কাজ করার পরামর্শ দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন।


তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা বিভিন্ন সময় সমস্যা সম্বলিত অংশটি ভেঙে দিয়েছি, জরিমানা করেছি। পরবর্তীতে মিটার না নেয়ার কারণে তারা কন্টিনিউ করতে পারতো। কিন্তু এখন যেহেতু আমরা বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি সেহেতু তারা এখন এটি আর কন্টিনিউ করতে পারবেন না।’


আরও পড়ুন: চন্দ্রিমা মডেল টাউনে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশ রাজউকের


এদিকে ভবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবন নির্মাণের মাঝে নয়, শুরুতেই যেন এমন অভিযানে আসেন রাজউক। তাহলে এমন দুর্ভোগে পড়বেন না তারা। স্থানীয়দেরও অভিযোগ, শুরুতেই কেনো নেয়া হয় না পদক্ষেপ।


তারা বলেন, ‘দেখা যায়, ঢাকা শহরে ৯৯ শতাংশ ভবনে এই সমস্যা রয়েছে। রাজউকের লোকেরা অনুমতি দিয়েছে। এখন আবার তারাই ভাঙছে। এমনটা হবে কেনো? যখন কনস্ট্রাকশনের কাজ চলে তখন যদি রাজউকের লোকজন এসে প্রপার ওয়েতে বিল্ডিং করার জন্য দেখিয়ে দেয় তাহলে এই সমস্যা হয় না।’


ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে নকশা বহির্ভূত সকল ভবনের ক্ষেত্রে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানায় রাজউক।


এদিকে একই সময়ে কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকায়ও অভিযান পরিচালনা করে রাজউক। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান অধীনে ৫টি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করে তিনটি ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মিটার জব্দ করে রাজউক।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন