প্রতিবেদন মতে, শনিবার (৫ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক ঘোষণায় জানান, দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের জন্য ইস্যু করা ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। যা তৎক্ষণাৎ কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
কারণ হিসেবে রুবিও জানান, দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো তার দেশের নাগরিকদের সময় মতো গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুযোগ নেয়া বন্ধ করার’ সময় এসেছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছেন। তার বহুল বিতর্কিত এই নীতির একটি মূল দিক হলো ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বিতাড়ন।
আরও পড়ুন: যে কারণে বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর সৌদির ভিসা নিষেধাজ্ঞা
এই নীতির অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন নথিপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। গত তিন মাসে কয়েক হাজার অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো হচ্ছে।
বিশ্বের নবীনতম দেশ দক্ষিণ সুদান, পাশাপাশি একটি দরিদ্র দেশও। এখানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেশি, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে আক্রান্ত হয়, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী সুরক্ষা স্ট্যাটাস’ দেয়, যার ফলে তারা নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। তবে এই স্ট্যাটাস ২০২৫ সালের ৩ মে শেষ হয়ে যাবে। তখন দক্ষিণ সুদানিরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
তার আগেই দক্ষিণ সুদানিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। মার্কিন প্রশাসন এই পদক্ষেপটি দক্ষিণ সুদানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি এক ধরনের চাপ হিসেবে দেখছে। মার্কো রুবিও বলেন, ‘যখন কোনো দেশ অন্য দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে চায়, তখন তাদের নিজ নাগরিকদের গ্রহণ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ভিসার নিয়মে পরিবর্তন আনল যুক্তরাজ্য
এই নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত যারা আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদান যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
]]>