বাংলাদেশ দলের পরিবেশনায় ছিল পাপেট শো, ওডিসি নৃত্য, গান এবং মূকাভিনয়- সব মিলিয়ে ছিল এক দুর্দান্ত উপস্থাপনা। দর্শক-শ্রোতা ও আয়োজকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে দলটি, যার স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছে দলীয় সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড।

এ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আল আমিন বাংলাদেশের একটি এবং কোরিয়ার একটি রোমান্টিক গান একসঙ্গে গেয়ে শোনান।
এই স্মরণীয় অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আল আমিন সময় সংবাদকে জানান, 'কোরিয়ায় আসা ছিল স্বপ্নের মতো। ওয়ার্ল্ড আর্ট ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে পেরে দারুণ লাগছে। আমার গাওয়া গানে সবাই মিলে কণ্ঠ মিলিয়েছে- এই মুহূর্তগুলো আমি কখনোই ভুলব না।'
আরও পড়ুন: কোরিয়ায় গান গেয়ে মন জয় করলেন আল আমিন
এছাড়াও ময়ূখ সরকার তার নাচের পরিবেশনায় মুগ্ধ করেন সবার মন। দলের অন্যান্য সদস্যরাও পুতুলনাচ ও মূকাভিনয়ে অংশ নেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত আজিজ রহমান নামে এক বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশ দলের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গর্বের। বিশ্বমঞ্চে এই অংশগ্রহণ এবং স্বীকৃতি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতের জন্য।
'ওয়ার্ল আর্ট ফেস্টিভ্যাল' উৎসবটি ছিল ১ আগস্ট থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী। এটি ফেস্টিভ্যালটির তৃতীয় আয়োজন। এ বছরের থিম ছিল 'বিশ্বকে শোনো, বিশ্বকে সুস্থ করো'। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি আয়োজন ছিল ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ সেশন এবং দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণমূলক শিল্প কর্মসূচি।