সামরিক আইন জারির কারণে সিউলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শূন্যপদ পূরণে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হলো। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত পাস হয়েছে।
এরপর এক ঘোষণায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেন, সরকার জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে আলোচনা করেছে। এতে নির্বাচন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ হিসেবে ৩ জুন নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভোটদানের সুবিধার্থে দিনটাকে একটি অস্থায়ী সরকারি ছুটি হিসেবে অনুমোদন করা হবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবার ফৌজদারি বিচারের মুখে
ইউন সুক-ইওল গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎই সামরিক আইন জারি করেন। এর ফলে দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিরোধিতা ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি দমনেই এই সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল।
তবে আইনপ্রণেতারা সামরিক আইন বাতিল করে দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইউন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করায় পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসন করে।
গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত পার্লামেন্টের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে বহাল রাখে। সামরিক আইন ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে আদালত রায় দেয়।
আরও পড়ুন: সংলাপে বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন বাধ্যতামূলক। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হান ডাক-সুই দেশ পরিচালনা করবেন।
]]>