দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। সেই পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হান ডাক-সু।
হান ডাক-সুর পরিচয়
হান ডাক-সু একাধারে একজন কূটনীতিক, অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিক। ২০২২ সালের মে থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হান হলেন পঞ্চম ব্যক্তি যিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউনের সময় ৩৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়া / অভিশংসিত হওয়ার পর ‘সাময়িক’ রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা ইউনের
এরপর ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। একজন পেশাজীবী কূটনীতিক ও অর্থনীতিবিদ হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পন করা হানের দক্ষিণ কোরিয়া ও এর বাইরে একজন টেকনোক্র্যাট হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে। যা নতুন দায়িত্ব পালনে তাকে বিশেষ সুবিধা দেবে মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে অনেকটা আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করার পর ইউনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় প্রস্তাব পাস হয়।
এর মধ্যদিয়ে সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ক্ষমতা স্থগিত হয়ে গেছে। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হান এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হলো না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি এখন ব্যাপকভাবে বিভক্ত। তা সত্ত্বেও হান এমন একজন বিরল কর্মকর্তা যিনি রাজনীতিক হিসেবে দলমতের সীমারেখা ছাড়িয়ে গেছেন।
বলা হচ্ছে, গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়াই হানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের।
]]>