বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ ও দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউনকে গ্রেফতারের আগে তার নিরাপত্তাকর্মী ও সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারীদের। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। ৩০০ পুলিশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থার তদন্তকারীদের একটি দল এ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: ইওলের অভিশংসনে সিউলের রাস্তায় উল্লসিত জনতা
এর আগেও একবার ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তিনি গ্রেফতার হলেন।
গত ৩ ডিসেম্বর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন। কিন্তু জনগণের তীব্র প্রতিবাদ ও চাপের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে এই আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হতে হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে তাকে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও তিনি আদালতে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান। এই পরিস্থিতিতে ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
]]>