গত মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। যদিও পরে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা ও দেশটির বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে তা প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে এ নিয়ে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এর জেরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি জানিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। তবে, বিরোধী ও সাধারণ মানুষের তুমুল আন্দোলন সত্ত্বেও পার্লামেন্টে সরকার দলীয় আইনপ্রণেতারা একজোট হওয়ায় বাতিল হয়ে যায় অভিশংসনের প্রস্তাব।
এতে, বিরোধী দলীয় নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতা আকড়ে ধরে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনেছেন তারা। বিরোধীদের দাবি, সরকার বেআইনী এবং সংবিধানবিরোধী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবার অভিশংসনের মুখে!
এদিকে, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে এখনো বিক্ষোভ চলছে দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের টানা আন্দোলনে যান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান তারা।
এক নাগরিক বলেন, ‘বর্তমানে দেশে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ বাসিন্দাদের। আমার প্রতিদিন লম্বা রাস্তা পাড়ি দিয়ে অফিসে যেতে হয়। আর লম্বা ট্রাফিক তা অসহনীয় করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
অন্যদিকে, এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির অর্থনীতিকেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ারবাজারে ২ দশমিক দুই তিন শতাংশের দরপতন হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তারা।
]]>