ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। জয় থেকে যখন মাত্র ২০ রান দূরে, তখন আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ১০৯ রানে তখন ৯ উইকেট। সেখান থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই ম্যাচ জেতান সামিউন বশির। ২৮.৪ ওভারে ১ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
এ দিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও উইকেট হারাতে থাকে দ্রুত। একশ রানের আগে তারা হারায় ৭ উইকেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন আরমান মানাক। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৪ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া যুবারা।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে-কখন?
এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন আল ফাহাদ। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ৩২ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া স্বাধীন ইসলাম ও সামিউন বশির নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ইকবাল হোসেন ইমন ও আজিজুল হাকিম নেন একটি করে উইকেট।
১২৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক শুরুর আভাস দেন ওপেনার জাওয়াদ আহমেদ। পরের ওভারেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ২০ রান।
আরও পড়ুন: আরও কিছুদিন খেলতে চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন রিফাত বেগ, রিজান হোসেন ও আজিজুল হাকিম। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফরিদ হাসানরা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ৫৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যুবা টাইগাররা।
সপ্তম উইকেট জুটিতে আল ফাহাদকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন রাতুল। তবে এরপর দেবাশীষ দেবা ও ইকবাল ফেরেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত একশ’র আগে ৮ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে একাই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সামিউন বশির।
]]>