ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তামিলনাড়ুর কারুর জেলার ইরোড মহাসড়কের ভেলুসামাইপুরামে থালাপতি বিজয়ের ‘ভেলিচাম ভেলিয়েরু’ নামের এক জনসভায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিজয় বক্তব্য দেয়ার সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে তিনি বক্তৃতা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ সমাবেশের মঞ্চের সামনের দিকে ছুটে আসার সময় কিছু লোক অজ্ঞান হয়ে পড়েন, এর যার ফলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সমাবেশে প্রাণহানিতে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে: থালাপতি বিজয়
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজয় থালাপিকে দেখতে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দ্বিগুণ মানুষ। সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুরে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ছ’ঘণ্টা দেরিতে সভাস্থলে পৌঁছান বিজয়। ততক্ষণে ভিড় মাত্রা ছাড়িয়েছে। অনেকে গরমেও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এনডিটিভি জানায়, স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টার দিকে পদদলিতের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ আগেই বক্তব্য দিকে মঞ্চে উঠেন বিজয়। আচমকা উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অভিনেতাকে সামনে থেকে দেখতে একসঙ্গে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান অনেকে। ভিড়ের মাঝে টাল সামলাতে না পেরে কেউ কেউ পড়ে যান। তাদের উপর দিয়েই এগোতে থাকেন বাকিরা। ধাক্কাধাক্কিতে একাধিক শিশুও অভিভাবকদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় বিজয় বক্তব্য থামিয়ে জনতার দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: থালাপাতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
প্রাণহাণির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন থালাপতি বিজয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে; আমি অসহনীয়, ভাষায় বর্ণনা করা যায় না এমন যন্ত্রণা ও শোকে ভুগছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কারুরে প্রাণ হারানো আমার প্রিয় ভাইবোনদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
এদিকে এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন।
]]>