থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেসব কাজ করা যাবে না

৩ সপ্তাহ আগে
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. আলমগীর আলম।

 

সভায় জানানো হয়, বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কৌশলগত স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে।


থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সকল পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও কেউ উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

 

সভায় সারাদেশে গির্জাসমূহের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদেরকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাসমূহে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন: থার্টিফার্স্ট নাইটে তরুণরা ‘পানি-টানি’ খায়, প্রকাশ্যে ওইটা করা ঠিক না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

সভায় উপস্থিত খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।

 

অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপার অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন