শোনা যায়, অফিসার্স ইনচার্জ অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে ফোর্সের ব্যারাক থেকে খাট, তোষক, বালিশ নিয়ে আসামিকে হাজতখানার ভেতরে ভিআইপি বিছানা করে দেন। শুধু তাই নয়, মোবাইলে কথা বলারও সুযোগ করে দেন বলেও তথ্য পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে সময় সংবাদের হাতে চলে আসে বেশ কয়েকটি ছবি। এতে দেখা যায় মো. লিটন হাওলাদার খাটে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। (ধারণা করা হচ্ছে ছবিটি আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে তোলা) ওই মামলায় পড়ে তাকে কোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি জানাজানি না হলেও যারা জেনেছেন তাদের ভেতরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আরও পড়ুন: ‘যুবলীগ নেতাকে দিনে ভুরিভোজ রাতে গ্রেফতার’ করা ওসি প্রত্যাহার
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানা অফিসার্স ইনচার্জ মাকসুদ আলম বলেন, ‘অন্য একটি মামলায় জামিন পেয়ে আসামি লিটন হাওলাদার ওসির সঙ্গে দেখা করার জন্য থানায় আসেন। তখন তার কাছে তাদের একটি গ্রুপে লিটন হাওলাদারের নামে অন্য একটি মামলা (২০১/২৪ মামলার এক বছর ২ মাস) সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়। এ সময়ে আসামি লিটন হাওলাদার নিজেকে অসুস্থতা দাবি করলে আমি তাকে হাজতখানায় থাকার কথা বলি।’
এ বিষয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জকে হাজত খানায় খাটিয়া কিংবা মোবাইলে কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কে বা কারা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ করে থাকলে অবশ্যই আমি খতিয়ে দেখব।’
মানুষ ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয় ভুল ত্রুটি তারও হতে পারে বলে জানান ওসি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাজতখানার পাশেই প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের একটি কক্ষ রয়েছে। যেখানে অসুস্থ রোগীদের বিশেষ প্রয়োজনে রাখা হয়।’
বিশেষ কোনো সুবিধা নিয়ে তিনি এ কাজ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি তা অস্বীকার করেন।
একপর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার থানার কোনো স্টাফ এ ধরনের ঘটনা করলে খতিয়ে দেখে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: দিনে দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে রাতে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করলেন ওসি
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) গোসাইরহাট সার্কেল মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘আসামি যদি অসুস্থ থাকে সেক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে রেখে পুলিশি তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করার বিধান রয়েছে। তাছাড়া ভেতরে মোবাইলে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেওয়া অনুসন্ধান করে দেখা হবে। তাছাড়া থানার সিসি টিভি ফুটে ও অন্যদের সাথে কথা বলে কী ঘটেছে তা জানানো যাবে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রসিডিউর মতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।