থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের

৩ সপ্তাহ আগে
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই রায় দেন আদালত। যা প্রভাবশালী রাজনৈতিক থাকসিন রাজবংশের জন্য আরেকটি ধাক্কা।

রায়ে বলা হয়েছে, তিনি বেআইনিভাবে পূর্ববর্তী কারাদণ্ডের অনেকটা সময়  হাসপাতালে কাটিয়েছেন। তাই এবার তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে।


এই হাই-প্রোফাইল মামলাটি পূর্ববর্তী দুর্নীতির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাথে যুক্ত।

 

আরও পড়ুন:থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন অনুতিন


বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে থাকসিন এবং তার পরিবার থাই রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তার বোন এবং মেয়ে উভয়ই থাইল্যান্ডের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।


কম্বোডিয়ার হুন সেনের সাথে ফাঁস হওয়া ফোন কলের সাথে যুক্ত একটি মামলায়, সাংবিধানিক আদালত নৈতিক মান লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসে তার মেয়ে পেতংতার্নকে পদ থেকে অপসারণ করেন।


এদিকে, মঙ্গলবার ৭৬ বছর বয়সী বাবার সাথে আদালতে যাওয়া পেটংতার্ন রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তার বাবার জন্য একটু চিন্তিত কিন্তু এমনিতে তারা পরিবারের সবাই ভালো মেজাজে আছেন।


তিনি বিরোধী দল হিসেবে পরিবারের ফিউ থাই দলকে তাদের কাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন।

 

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে দুই বিচারপতি যে রায়টি পড়ে শোনান, তাতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন যে থাকসিনের হাসপাতালে থাকা বেআইনি।

 

আদালত বলেছেন এর দায় কেবল ডাক্তারদের নয় বরং থাকসিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার হাসপাতালে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:আদালতের রায়: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতেই হচ্ছে পেতংতার্নকে

 

এদিকে,  থাকসিন ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তিনি আদালতের এক বছরের কারাদণ্ডের রায় মেনে নিচ্ছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি শক্তিশালী থাকবেন বলেও জানান। 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন