থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, বহু প্রাণহানি

২ সপ্তাহ আগে
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন অন্তত দুই হাজার বাসিন্দা। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের ৩০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।

মাত্র এক রাতের বৃষ্টি, আর তাতেই ডুবে গেছে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের সিবোলগা শহর। আকস্মিক এ বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। অনেকেই আটকা পড়েছেন বাড়িতে। তাদের উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বিবেচনায় ভূমিধ্বস-প্রবণ এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

 

থাইল্যান্ডেও বন্যায় বিপর্যস্ত অসংখ্য মানুষ। ভূমিধ্বসের কবলে পড়ে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

 

বলা হচ্ছে, দেশটির ৩০০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০টি প্রদেশ। এতে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৩ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: ফিলিপিন্স ও জাপানে ভূমিকম্পের আঘাত

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করেছে থাই প্রশাসন। সামরিক বাহিনীর নৌকা ও হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ। প্রয়োজনে ভাসমান হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

 

এদিকে, গাজায় চলমান মানবিক সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে শীতের বৃষ্টি। ভারি বর্ষণে পানি ঢুকছে অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে। হামাস-চালিত গাজা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহের ঝড়ো আবহাওয়ায় প্রায় ৪৫ লাখ ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে। নষ্ট হয়েছে তাঁবু, খাবার ও ওষুধ।

 

স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা বলছে, জরুরি ভিত্তিতে আরও তিন লাখ তাঁবুর প্রয়োজন উপত্যকায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন