ত্রিশ গ্রামের ‘দুঃখ’ নোয়াখালী-ভীমখালী সড়ক

৩ সপ্তাহ আগে
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কের বেহাল দশা। অসংখ্য খানাখন্দ আর গর্ত থাকা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। সংস্কার কাজে অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে কাজ। আর নির্ধারিত সময়ে সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী নোয়াখালী-ভীমখালী সড়ক। খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন মানুষ। প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের মধ্যে ছয় কিলোমিটার কার্যত চলাচলের অযোগ্য।

 

তিন বছর ধরে এই দুর্ভোগ চলছে। যৌথভাবে সড়ক সংস্কারের কাজ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর। প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া সংস্কার প্রকল্পে কাজে অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলেন, নিয়ম মেনে কোনো কাজ হচ্ছে না। একদিক ঠিক করলে অন্যদিক ভেঙে যায়। 

 

আরও পড়ুন: বালুবাহী ট্রাকসহ ভেঙে পড়ল সেতু, যান চলাচল বন্ধ

 

তবে তিনটি কালভার্টের কাজ চলমান উল্লেখ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, বৃষ্টির কারণে থেমে আছে কিছু কাজ। ঠিকাদারের প্রতিনিধি শামীম হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কার্পেটিংসহ অনেক কাজই বাকি এখনও। কবে কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই কাজ শেষ করা হবে।

 

কাঁদাযুক্ত মাটির সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। ছবি: সময় সংবাদ

 

এদিকে, সড়কটি ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উল্লেখ করে এলজিইডি বলছে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে প্রকল্পটি। সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম নেই। স্থানীয় কিছু সাপ্লায়ারদের কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে প্রকল্পটি।

 

উল্লেখ্য, নোয়াখালী-ভীমখালী সড়ক ব্যবহার করেন ৩০টিরও বেশি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন