ত্রিমুখী চাপে দেশের অর্থনীতি, আগামী ৬ মাসে ভাগ্য নির্ধারণ

২ সপ্তাহ আগে
নির্বাচনের তোড়জোড় যত বাড়ছে, ততই স্নায়ুচাপ বাড়ছে আর্থিক খাতে। রমজানের আগে নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসির চাপ ও নির্বাচনের পর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পথ সহজ রাখতে বাজারে নিরবচ্ছিন্ন ডলার সরবরাহসহ নীতি সহায়তায় বড় ধরনের প্রস্তুতি জরুরি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধুমাত্র ডলার সরবরাহ বা সুদের হার কামিয়ে নয়, কর পরিকল্পনা ও আমদানি রফতানি সহজ করতে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

রমজানকে সামনে রেখে নিত্য পণ্য আমদানি বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, ছোলা, খেজুর ও ভোজ্য তেলসহ খাদ্যপণ্য আমদানিতে গুনতে হয় মোটা অংক। আন্তর্জাতিক বাজারদর আর পরিবহনের খরচের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছরই আর্থিক আকার হয় প্রায় দ্বিগুণ।

 

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিবর্তীত পরিস্থিতির সময়টি বাদ দিয়ে স্বাভাবিক সময় ধরলে, ২০২৩ সালের এই সময়ের তুলনায় কম।

 

অন্যদিকে, দেশিয় বিনিয়োগকারীদের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন নতুন সরকারের অপেক্ষায়। ফলে, আসছে ছয় মাসে ত্রিমুখী চাপে পড়তে যাচ্ছে আর্থিক খাত।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ছয়মাসের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে কতটা ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বর্ণে বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ?

 

নির্বাচনের পর শুধুমাত্র ঋণের সুদের হার কমানো বা বাজারে ডলারের তারল্য ঠিক রাখা নয়, নির্বাচিত সরকারের বন্দর ব্যবস্থাপনা ও করনীতির ওপর নির্ভর করবে বেসরকারি বিনিয়োগে কতটা জোয়ার আসবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘যখন নির্বাচিত সরকার এলে ব্যবসা বাণিজ্যে একটা চাঙ্গা ভাব থাকবে। যখন বেসরকারি খাত বিনিয়োগ শুরু করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমদানি রফতানি বাড়বে। এতে একটা চাপ সৃষ্টি হবে।’

 

রিজার্ভের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন রিজার্ভ নিয়ে যতটা স্বস্তিতে রয়েছি। যখন প্রচণ্ড চাপ তৈরি হবে, তখন আর সেসই স্বস্তিতে থাকা যাবে না। সেইসঙ্গে ভোগ্যপণ্য আমদানি চাপ, আরেক দিকে শিপ্ল কাঁচামালের আমদানির চাপ তৈরি হবে।’    

 

গত বছর আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছিল আমদানীরকের সংখ্যাও। ফলে এবার অর্থ পাচার রোধে সেদিকেও নজরদারি রাখা হবে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন