রোববার (১ জুন) উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। আজ সোমবার (২ জুন) নতুন করে আরও ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ দিকে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর সড়কের বঙ্গেরচর এলাকায় একাংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে স্থলবন্দরে ব্যবসা বাণিজ্য সচল রয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে দু’দেশের যাত্রী পারাপার। তবে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী ১০ গ্রাম প্লাবিত
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে শুকনো খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরে সহকারী পরিচালাক মাহমুদুল হাসান জানান, আকস্মিক বন্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেনি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে ১৫ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রফতানি করা হয়েছে। তা ছাড়া ৪০-৪৬ জন যাত্রী ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে বেড়েই চলছে মৌলভীবাজারের সব নদীর পানি, বন্যা আতঙ্ক
জেলা পানি উন্নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, সকালে ত্রিপুর হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপরে অতিক্রম করছে। আর সেই পানি বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে।
উল্লেখ্য,গত ২৮ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাত ও ঢলের তীব্রতায় মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি উঠে যায়, ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।