শনিবার (৩১ মে) দুপুর থেকে কাজ করার সময় প্রচুর পরিমাণ বিএসএফের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে বিজিবির নিজকালিকাপুর বিওপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, বাস্তবে কাজ বন্ধ নেই।
এ বিষয়ে ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা
২৯ মে দিনগত রাতে বিজিবির বাধায় সরে যায় বিএসএফ। সীমান্তের বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ করে দিয়ে তারা এমন চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা সরে যায়।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিএসএফ বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য ড্রেন নির্মাণ করছিল। কিন্তু কাজের কিছু অংশ নোম্যান্সল্যান্ডের (শূন্য রেখা) ২০ গজ এলাকার মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় আমরা বাধা দিয়েছি। কারণ শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাজ করতে হলে দুদেশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করতে হবে।
পরশুরামের সীমান্তবর্তী স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ওপারে বিলোনীয়া শহর ও পুলিশ স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সেজন্য তারা পানি বের করার উপায় খুঁজছে। বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি ছেড়ে দিতে পারলে তাদের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন হবে।