ত্রাণের লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও গুলি

৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে প্রাণ গেল আরও ১৪৪ ফিলিস্তিনির। নিহতের অনেকেই মানবিক সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিলেন। বুধবার (১৮ জুন) উপত্যকার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পেও গুলি চালিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালগুলোতে মাত্র তিনদিনের জ্বালানি মজুদ আছে।

গাজায় সাহায্য নিতে আসা মানুষের ওপর আবারও গুলিবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। নেতজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে বুধবার ভোরে চালানো গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেকে। নিহতরা খাদ্য সহায়তার আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

 

একই দিনে গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে শরণার্থী তাঁবুতে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী ও শিশুসহ কয়েকজন। জেইতুন ও মাজাজি ক্যাম্পে বিমান হামলায় একই পরিবারের সদস্যসহ নিহত হয়েছেন আরও অনেকে।

 

আরও পড়ুন: সবার নজর ইরানে, এর মধ্যেই গাজায় ৪৫ জনকে হত্যা!

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গুরুতর জ্বালানি সংকটে ভুগছে হাসপাতালগুলো। মাত্র তিন দিনের জ্বালানি মজুত অবশিষ্ট আছে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের অভিযোগ 'রেড জোন'-এর অজুহাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাধা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি পৌঁছাতে।

 

গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। হামাসের অভিযোগ এই বিতরণব্যবস্থা মূলত ইসরাইলের সামরিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা এরই মধ্যে এতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আর ইসরাইল প্রতিদিনকার এই হত্যাকাণ্ডকে 'নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত' করার দাবি করছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন