দেশের রফতানি আয়ের ৮০ ভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতের উপর অতিনির্ভরশীলতা অর্থনীতিতে তৈরি করছে ঝুঁকি। আগামীতে এই ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভায়, টিকে থাকতে তৈরি পোশাক শিল্পে বৈচিত্র্য আনার তাগিদ দেন তিনি।
প্রফেসর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘তৈরি পোশাকের ভবিষ্যৎ হয়তো আর ৫-৭ বছরের বেশি না। আমাদের উৎপাদন ও রফতানিকে বহুমুখী করা ছাড়া ভিন্ন কোনো উপায় নেই। বর্তমান অবস্থান থেকে আরও বেশি অগ্রসর হতে হলে এসব বৈচিত্র্যতা আনতে হবে।’
এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ বলেন, তৈরি পোশাক খাতের সাম্প্রতিক আন্দোলন মূলত যন্ত্রের কাছে মানুষের হেরে যাওয়ার শঙ্কা থেকে তৈরি। এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প!
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত প্রায় এক দশক ধরে জেকার মেশিনগুলো আসার পর অটোমেশনের কারণে প্রচুর শ্রমিক ঝরে গেছে। এ প্রথম বেকার শ্রমিকরা করাখানার সামনে গিয়ে আন্দোলেন করেছে যে, তাদের চাকরি দিতে হবে। এ যে শিল্পাঞ্চলগুলো সামনের বেকার শ্রমিকগুলো কোনো না কোনো কারখানা থেকে ঝরে পড়া শ্রমিক।’
প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়াতে জেলাভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘শহর কানেক্টিভিটি থাকা এলাকার বাইরে থাকা তরুণী বা কিশোরীদের জন্য যে কোনো লেবার মার্কেট বা জব মার্কেটে অংশ নেয়া কঠিন।’
দক্ষতা উন্নয়নে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান।