গ্রেফতারের পর শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আব্দুল জলিল একই ইউনিয়নের মাঝগ্রাম গ্রামের ভ্যানচালক ছহিরুদ্দিন ওরফে সরাফত আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের বহিস্কৃত সদস্য। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা যুবদল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল জলিল। একইসঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে রাজবাড়ী সদর থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। সে মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে আত্মগোপনে ছিলেন জলিল।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে জাবেদ উমর হত্যা মামলার প্রধান ৩ আসামি গ্রেফতার
এদিকে অভিযোগ আছে, বিএনপিসহ যুবদলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে সে। যার কারণে, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল জলিলকে বহিষ্কার করা হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিঞা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সময় সংবাদকে বলেন, আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। সে মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর, শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
]]>