তুলে ফেলা হচ্ছে যমুনা সেতুর পরিত্যক্ত রেললাইন, প্রশস্ত হবে দুই লেন

৪ দিন আগে
যমুনা সেতুর ওপরের পরিত্যক্ত রেললাইন তুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে বিভাগ। রেললাইন অপসারণের পর সেতুর ওই অংশটুকু দুই পাশের সড়ক লেনে যুক্ত করে সেতু প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। যাত্রী ও চালকদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী সেতুর লেন প্রশস্ত হলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত নতুন রেলসেতু উদ্বোধনের পর সেখান দিয়েই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর ফলে যমুনা বহুমুখী সেতুর ওপরের রেললাইনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এরপর সেতু কর্তৃপক্ষ রেললাইনটি অপসারণের জন্য রেল বিভাগকে চিঠি দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) যমুনা সেতুর পূর্বপাড় থেকে রেললাইন তোলার কাজ শুরু হয়।


পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানান, রেললাইন তোলার কাজ শুরু হয়েছে এবং এ কাজ শেষ হতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগবে। কাজ শেষ হলে সেতুর গঠনগত স্থিতি ও নিরাপত্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সড়ক লেন প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।


যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, 'রেললাইন অপসারণের ফলে সেতুর মাঝামাঝি সাড়ে তিন মিটার জায়গা খালি হবে। এই জায়গাটি সেতুর দুই লেনে যুক্ত করলে প্রতিটি লেনের প্রস্থ ৬ দশমিক ৩ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৮ মিটার করা যাবে। বর্তমানে সেতুর লেন সরু হওয়ায় ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। লেন প্রশস্ত হলে নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনি যানজটও কমবে।'


আরও পড়ুন: সৈয়দপুরে রেললাইনের পাত চুরির অভিযোগে রেলকর্মকর্তা আটক


এ বিষয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশেষ করে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সেতুর দুই লেন প্রশস্ত হলে ঈদ কিংবা অন্যান্য ছুটির সময় দীর্ঘ যানজট অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে।'


প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। শুরুতে সেতুতে রেলপথ ছিল না, তবে ২০০৪ সালে সেতুর উত্তর পাশে রেললাইন স্থাপন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে সেতুর স্থায়িত্বে সমস্যা দেখা দিলে ২০০৬ সাল থেকে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়। এরপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নতুন রেলসেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হওয়ায় যমুনা সেতুর ওপরের রেললাইন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন