তুর্কি ক্লাবের হয়ে কোচিংয়ে ফিরছেন জিদান!

১ সপ্তাহে আগে
রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পর ছাড়ার পর আর কোনো দলের দায়িত্বে দেখা যায়নি জিনেদিন জিদানকে। ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের জাতীয় দলকে জড়িয়ে গুঞ্জন উঠলেও চার বছর ধরেই দৃশ্যপটের বাইরে এই ফরাসি কিংবদন্তি। তবে, জিদান ফের আলোচনায় প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জনের কারণে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ালিফায়ারের প্লে-অফে বেনফিকার কাছে হেরে যাওয়ায় ফেনেরবাচের কোচের চাকরি হারিয়েছেন জোসে মরিনিয়ো। আর এই ফেনেরবাচের নতুন কোচ হিসেবেই জিদানের প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ফরাসি কিংবদন্তির সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে ফেনেরবাচে।


৫৩ বছর বয়সী জিদান নীতিগতভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো।  বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে বেতন ও চুক্তির খুঁটিনাটি। এই আলোচনা শেষ হলে জিদান ইস্তানবুলে গিয়ে ক্লাবের দায়িত্ব নিতে পারেন।


গত ২৯ আগস্ট ফেনেরবাচে জোসে মরিনিয়োর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বে বেনফিকার কাছে হেরে যাওয়া এবং খেলোয়াড় ও বোর্ডের প্রকাশ্যে কড়া সমালোচনা করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব।

 

আরও পড়ুন: তুরস্কে পাসপোর্ট হারিয়ে ইয়ামালের বিড়ম্বনা


ফেনারবাচের ম্যানেজমেন্ট অন্য নামও বিবেচনায় রেখেছিল। ক্লাবের সহসভাপতি হামদি আকিন এর আগে তুর্কি কোচ ইসমাইল কার্তালের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আলোচনায় থাকা একমাত্র দেশীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি। কার্তাল দায়িত্ব নিতে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন, তবে অপেক্ষায় ছিলেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট আলি কোচের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।


স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেভিন ওজেক আরও কয়েকজন বিদেশি কোচকে নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন। এই তালিকায় ছিলেন অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগ্লু, লুসিয়ানো স্পালেত্তি ও ডোমেনিকো টেডেস্কো। তবে স্পালেত্তি পরিবারকে সময় দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।


খবরে বলা হচ্ছে, ক্লাব প্রেসিডেন্ট আলি কোচ দেশীয় কারও চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন কোচের হাতে দল দিতে আগ্রহী। কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, জিদান সেই প্রোফাইলে মানানসই হবেন যদি চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা সফলভাবে শেষ হয় (সাবাহ দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী)।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি তরুণদের বড় স্বপ্ন দেখতে বললেন ব্রাজিলিয়ান তারকা


জিদানকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ধরা হয়। জুভেন্টাস ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ইউরো ২০০০ জিতেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০০২ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতেন।


অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিংয়ে আসেন এবং রিয়াল মাদ্রিদকে ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতান। এছাড়া স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে দুই দফায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি দুটি লা লিগা শিরোপাও জিতিয়েছেন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন