ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে এরদোগান সফরে আসলে, ট্রাম্প তাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর তার প্রভাব ব্যবহার করে মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আঙ্কারার উচ্চ-প্রযুক্তিগত এফ-৩৫ বিমান কেনার ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র (ব্যবস্থা) কেনার জন্য তুরস্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ট্রাম্প আগ্রহী নন:মার্কিন কর্মকর্তা
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ন্যাটো মিত্র তুরস্ককে রাশিয়ার এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টিলথ ফাইটার প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প ওভাল অফিসে এরদোগানের সাথে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া যখন এই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি চাই, তুরস্ক রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করুক।
ট্রাম্প বলেন, পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ের কাছেই এরদোগান খুব সম্মানিত এবং তিনি চাইলে এতে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন। এই মুহূর্তে, তিনি নিরপেক্ষ অবস্থানে আছেন।
‘তিনি সবচেয়ে ভালো যে কাজটি করতে পারেন তা হলো রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস না কেনা।’ ট্রাম্প আরও বলেন।
রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতের উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কখন শেষ হতে পারে জানতে চাইলে ট্রাম্প উত্তর দেন, যদি আমাদের একটি ভালো বৈঠক হয়, তাহলে তা খুব শিগগির হতে পারে।
বিবিসি জানায়, তুরস্ককে বছরের পর বছর ধরে মার্কিন এফ-৩৫ কিনতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালে রাশিয়া থেকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের পর যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কর্মসূচি থেকে এটিকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যুতে যা বললেন বিশ্বনেতারা
এদিকে, ওভাল অফিসের বৈঠকটি তুরস্কের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বা উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল, যদিও ট্রাম্প উভয় বিষয় নিয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
সূত্র: ডন
]]>